মুশফিকুর রহিমের সুইপ শট খেলা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। মূলত আলোচনাটা বেশি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টে অর্ধশতক হাঁকানোর পর সুইপ করতে গিয়ে আউট হবার পর। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এমন শট খেলে আউট হবার পর দলও বিপদে পড়ে গিয়েছিল।
তবে চট্টগ্রামের চলমান টেস্টে ভিন্ন মুশফিককেই দেখা গেছে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক আর ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার দিনে শট নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক সংযমী ছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই সুইপ খেলতে গিয়েই আউট হয়েছেন মুশি।
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিককে রিভার্স সুইপ খেলার প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় মুশফিক তার দুটি ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস দেখার আমন্ত্রণ জানান।
মুশফিক বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম প্রথম প্রশ্নই এটা হবে যে সুইপ শট খেলে আউট হয়ে গেলেন। উইকেট কেমন এর ওপর নির্ভর করে। এটা অনেক ভালো, ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট। এখানে থিতু হলে অন্যান্য শট খেলা যায়, সোজা ব্যাটে খেলা যায়।
আরেকটা জিনিস- আমি কিন্তু রিভার্স সুইপ খেলে দুইটা ডাবল সেঞ্চুরিও করেছি। এটা আমি একটু বলে রাখতে চাই। শুধু একটা না, দুইটা ডাবল সেঞ্চুরি। যাদের কাছে ভিডিও আছে দেখলে বুঝতে পারবেন। প্রতি ইনিংসে ৩-৪টা রিভার্স সুইপ আছে।’
মুশফিক আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও তিনি রিভার্স সুইপ খেলার প্রবণতা থেকে বের হবেন না। তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ শট। কিন্তু আমি ভবিষ্যতেও এটা খেলতে ভয় পাব না।’ এদিকে, চলমান চট্টগ্রাম টেস্টে মুশফিকুর রহিম আরাধ্য শতক হাঁকানোর পরপরই তাকে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন তার স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডি।
যা নিয়ে সরব গণমাধ্যম। স্বামীর অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরির পর তার দেওয়া স্ট্যাটাসের ভাষ্য, ‘আমরা হাসিমুখেই বিদায় নিবো ইনশাআল্লাহ। তবে আপনাদের রিপ্লেসমেন্ট আছে তো? সেদিকেও একটু নজর দিলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন হতো!’
এদিকে,দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই মুশফিককে তার বউয়ের পোস্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, মাঠের খেলার প্রভাবে কি পরিবারের সদস্যরাও মন খারাপ করে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো দেখিনি সে (স্ত্রী) কি লিখেছে। দেখলে হয়তো বলতে পারবো। তবে এটা ঠিক যে, মাঝে মাঝে একটু হলেও খারাপ লাগে।’
মুশফিক আরও বলেন, একদিন সেঞ্চুরি করলে বাংলাদেশে ব্রাডম্যানের চেয়েও বড় কিছু হয়ে যায়, আবার দুই তিন ইনিংসে রান না পেলে তখন সমালোচনারও শেষ থাকে না। আমার মনে হয় এটা শুধু বাংলাদেশেই হয়।